শবরীমালায় ইতিহাস গড়লেন দুই বছর চল্লিশের দুই মহিলা

গত 28 সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রায় দেওয়া সত্ত্বেও গত চার মাসে কোনও ঋতুমতী মহিলাই শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি। কিন্তু শেষপর্যন্ত গত বুধবার বছর চল্লিশের দুই মহিলা মন্দিরে প্রবেশ করলেন। পলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, বুধবার খুব সকালে আয়াপ্পা স্বামীর মন্দিরে প্রার্থনা করে্ন এবং তারা কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হন নি। এবং এই ভাবে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল।
শবরীমালায় বহু প্রাচীন কাল থেকেই 10 থেকে 50 বছরের অর্থাৎ ঋতুকালীণ বয়সের মহিলারা প্রবেশ করতে পারতেন না। এই প্রথার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি জানানো হয়। এবং এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে যে মন্দিরে সব বয়সের মহিলারা প্রবেশ করতে পারবেন।
এর পরেই অনেক মহিলা ভক্তই মন্দিরে প্রবেশ করতে চেষ্টা করেন, কিন্তু তাদের কার্যত বাধা দেয় আয়াপ্পার ভক্তরা। বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ করে মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা আটকে রেখেছে তারা। পুলিশ এবং প্রশাসনের তরফ থেকেও এতদিন জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি।
এরকম পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার মাঝরাতে শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করার জন্য বিন্দু এবং কনক দুর্গা নামের বছর চল্লিশের দুই মহিলা শবরীমালা পাহাড়ের পেম্বা বেস থেকে যাত্রা শুরু করেন। একটি ছোট পুলিশের দল তাদের কর্ডন করে নিয়ে যায়। এবং শেষ পর্যন্ত ভোর 4টে নাগাদ তারা মন্দিরে পৌঁছে আয়াপ্পা স্বামীর কাছে বিনা বাধায় প্রার্থনা সেরে নীচে নেমে আসেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায় দেওয়া সত্ত্বেও একাধিক সংগঠন মন্দিরে ঢুকতে বাধা দিচ্ছিল। মন্দিরে ঢোকার জন্য কেউ পাহাড়ে উঠতে গেলেই তাঁদের বাধা দিচ্ছিল। এইরকমই একটি সংগঠন হল ‘আয়াপ্পা ধর্ম সেনা’। তার এক সদস্য রাহুল ঈশ্বর জানিয়েছেন, ‘‘আমি মনে করি না এটা সত্যি। ওই দুই মহিলা অত্যন্ত গোপনে মন্দিরে প্রবেশ করে থাকতে পারে। বিষয়টি সত্যি বলে আমরা জানতে পারলে, তার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’’